২০১২ এর ২৭ মার্চ,দুপুরে খবর এলো সেজো ফুপা মারা গেছেন,বাড়িতে কান্নাকাটি হৈচৈ, ফুপা মারা গেছেন ঢাকায়,হসপিটালে,লাশ নিয়ে রাজশাহী আসতে রাত দশ টার মতো বেজে গেলো,বড় দুলাভাই, মেজো চাচ্চু আর স্থানীয় ইমাম সাহেব,সবাই মিলে লাশ ধুইয়ে কাফন পড়ালেন,রাত ১২টা বেজে গেলো
,আব্বু খুব ভেংগে পরেছেন,ফুপা নাকি আব্বুকে খুব ভালবাসতেন,সবাই সিদ্ধান্ত নিলো,পরদিন লাশ কবরস্থ করা হবে,রাত একটা বাজে,আম্মা আমাকে নিয়ে বাসায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন,আব্বু দুলাভাই,ভাইয়া এরা লাশ গাড়িতে করে মরচুয়ারি,মানে যেখানে লাশ ভাল থাকে সেখানে লাশ ঘরে রাখতে গেছেন,আস্তে আস্তে লোকজন সবাই চলে গেলো,বাসা প্রায় ফাকা,আমি আর আম্মা বাসায় আসছি,দশ মিনিটের হাটা রাস্তা,ফুপির বাসা থেকে আমাদের বাসা,রাস্তাঘাট জনশুন্য আমরা হাটছি,মিনিট খানেক পরেই আমার মনে হোলো কে যেন আমাদের সাথে হাটছে,আমি আম্মার দিকে তাকালাম,দেখি আম্মা একমনে দোয়া পড়ছেন, আমি ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছি,একটু পর মনে হোলো কে যেন আমার ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে,আমি ভয়ে আম্মাকে জড়িয়ে ধরেছি,আম্মাও আমাকে জোড়ে চেপে ধরেছেন,এমন সময় জোড়ে একটা দমকা বাতাস এলো,আর আমি আর আম্মা মনে হোলো রাস্তা থেকে আমাদের কেউ ধাক্কা দিয়ে পাশের জংগল ঘেড়া মাঠে ফেলে দিতে চাচ্ছে, আম্মা জোড়ে দোয়া পড়ছেন,আর আমাকে ধরে রাস্তায় উঠতে চাচ্ছেন,উনি আর আমি যত বার উঠতে চাই,ততবার পিছিয়ে পড়ি,এক সময় আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা একসময় রাস্তায় উঠতে সক্ষম হই,এবার মনে হোলো আমি পিঠে গরম চাপ অনুভব করছি,আর আম্মার দিকে না ফিরে কে যেন আমার কাধে চাপ দিয়ে পাশ ফিরালো আমি তাকিয়ে দেখি ছোট দুইটা লোমশ হাত আর লাল দুই টা চোখ,এই দেখে আমি সাথে সাথে জ্ঞান হারাই,ততক্ষণ এ আমরা প্রায় বাড়ির কাছকাছি,আম্মা আমাকে টেনে মেইন রোডে নিয়ে এসে চিৎকার করতে থাকেন,সামনের বাসা থেকে সবাই বের হয়ে এসে,আমাদের বাসায় দিয়ে যান, আর পাশের বাড়ির নানি,নানা রাতে আমাদের সাথে বাসায় থেকে যান, পড়ে উনার মুখে শুনেছি, এই জায়গাটার নাম শিবার বাড়ির আড়া (জংগল), অনেকেই এই জায়গায় মারাত্মক ভয় পেয়েছেন,এমন কি আমার দাদী ও নাকি ভয় পেয়েছিলেন,এই আড়া তে নাকি যুদ্ধের সময় অনেক লাশ পুতে দেয়া হয়েছিল,আর আড়ার শেষ হয়েছে একটা দহে গিয়ে,অনেক কে নাকি পথ ভুলিয়ে ওই দহ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে,নানি পরদিন আমাকে পিঠে থালা ধরেন আর বলেন,আমরা নাকি খুব বাচা বেচে গেছি।
,আব্বু খুব ভেংগে পরেছেন,ফুপা নাকি আব্বুকে খুব ভালবাসতেন,সবাই সিদ্ধান্ত নিলো,পরদিন লাশ কবরস্থ করা হবে,রাত একটা বাজে,আম্মা আমাকে নিয়ে বাসায় চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন,আব্বু দুলাভাই,ভাইয়া এরা লাশ গাড়িতে করে মরচুয়ারি,মানে যেখানে লাশ ভাল থাকে সেখানে লাশ ঘরে রাখতে গেছেন,আস্তে আস্তে লোকজন সবাই চলে গেলো,বাসা প্রায় ফাকা,আমি আর আম্মা বাসায় আসছি,দশ মিনিটের হাটা রাস্তা,ফুপির বাসা থেকে আমাদের বাসা,রাস্তাঘাট জনশুন্য আমরা হাটছি,মিনিট খানেক পরেই আমার মনে হোলো কে যেন আমাদের সাথে হাটছে,আমি আম্মার দিকে তাকালাম,দেখি আম্মা একমনে দোয়া পড়ছেন, আমি ভয়ে স্তব্ধ হয়ে গেছি,একটু পর মনে হোলো কে যেন আমার ঘাড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে,আমি ভয়ে আম্মাকে জড়িয়ে ধরেছি,আম্মাও আমাকে জোড়ে চেপে ধরেছেন,এমন সময় জোড়ে একটা দমকা বাতাস এলো,আর আমি আর আম্মা মনে হোলো রাস্তা থেকে আমাদের কেউ ধাক্কা দিয়ে পাশের জংগল ঘেড়া মাঠে ফেলে দিতে চাচ্ছে, আম্মা জোড়ে দোয়া পড়ছেন,আর আমাকে ধরে রাস্তায় উঠতে চাচ্ছেন,উনি আর আমি যত বার উঠতে চাই,ততবার পিছিয়ে পড়ি,এক সময় আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা একসময় রাস্তায় উঠতে সক্ষম হই,এবার মনে হোলো আমি পিঠে গরম চাপ অনুভব করছি,আর আম্মার দিকে না ফিরে কে যেন আমার কাধে চাপ দিয়ে পাশ ফিরালো আমি তাকিয়ে দেখি ছোট দুইটা লোমশ হাত আর লাল দুই টা চোখ,এই দেখে আমি সাথে সাথে জ্ঞান হারাই,ততক্ষণ এ আমরা প্রায় বাড়ির কাছকাছি,আম্মা আমাকে টেনে মেইন রোডে নিয়ে এসে চিৎকার করতে থাকেন,সামনের বাসা থেকে সবাই বের হয়ে এসে,আমাদের বাসায় দিয়ে যান, আর পাশের বাড়ির নানি,নানা রাতে আমাদের সাথে বাসায় থেকে যান, পড়ে উনার মুখে শুনেছি, এই জায়গাটার নাম শিবার বাড়ির আড়া (জংগল), অনেকেই এই জায়গায় মারাত্মক ভয় পেয়েছেন,এমন কি আমার দাদী ও নাকি ভয় পেয়েছিলেন,এই আড়া তে নাকি যুদ্ধের সময় অনেক লাশ পুতে দেয়া হয়েছিল,আর আড়ার শেষ হয়েছে একটা দহে গিয়ে,অনেক কে নাকি পথ ভুলিয়ে ওই দহ পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে,নানি পরদিন আমাকে পিঠে থালা ধরেন আর বলেন,আমরা নাকি খুব বাচা বেচে গেছি।
অনেক সুন্দর একটি লেখা পড়লাম, আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর লেখা আমাদের উপহার দেয়ার জন্য। আপনার শিক্ষণীয় ব্লগ টি বেঁচে থাকুক হাজার বছর।
ReplyDelete