ভয়ংকর সেই দিনের অপেক্ষা

ভয়ংকর সেই দিনের অপেক্ষা
(বিদেশী ভাষা থেকে অনুবাদিত)
========
এই ঘটনা অথবা ঘটনাগুলো যখন ঘটে তখন
আমার
বয়স ছিল ৯ বছর। এখন আমি ১৫ বছরের একজন
কিশোর। আমরা ঐ সময় বোস্টনে(আমেরিকা

একটি শহর)থাকতাম।


 আমার মা যখন
মারা যান তখন আমার
বয়স মাত্র ৩ মাস। উনাকে কেউ একজন                                  












মেরে আমাদের ক্লোজেটে(এক প্রকারের
আলমারি) আটকে রেখেছিলো। আমি এক
বিন্দু
মিথ্যে বলছি না। আমি পরবর্তীতে এই
কথাগুলো আমার খুবই বিশ্বস্ত মানুষের কাছ
থেকে শুনতে পাই।
আমার বয়স যখন ৯ বছর তখন
আমি মাঝে মাঝে আমার খাটের নিচ
থেকে অদ্ভুত
সব আওয়াজ শুনতে পেতাম। আমি এই শব্দের
ভয়ে মাঝে মাঝে খুব ভীত এবং আতঙ্কিত
হয়ে পড়তাম। এই
শব্দটি আমি শুনতে থাকি যতদিননা আমার
বয়স ১১ পার
হয়। যখন ১১ পার হয় তখন থেকে প্রায় এক বছর
আমি কোনরূপ শব্দ শুনতে পাই নি।
কিন্তু এরপর এটি আর ভয়ঙ্কর
রূপে ফিরে আসে!
আমি হটাত করে আরো ভয়ঙ্কর ব্যাপার
সেপার
টের পেতে থাকি। মাঝে মাঝে গভীর
রাতে ভয়ঙ্কর কোনো চিৎকারে আমার ঘুম
ভেঙ্গে যেত। মাঝে মাঝে দেখতাম
দেয়ালে কারো ছায়া হেঁটে বেড়াচ্ছে।
চিৎকারের আওয়াজ
শুনে মনে হতো কোনো আহত
ব্যাক্তি যেনো প্রচণ্ড ব্যাথায় ছটফট করছে।
আমি যা বর্ণনা করতে চাচ্ছি তা খুবই কঠিন।
অসম্ভব
বলা যায়। কারন কিছু
ঘটনা মুখে বলে বা লিখে বোঝানো সম্ভব
নয়।
একবার হটাত আমার মাঝে কিছু একটা ভর
করে।
আমি নিজের উপর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি।
এই
সময়ে আমি আমার টেবিলে কাগজের উপর
কলম
দিয়ে কিছু
একটা লিখি এবং লেখা শেষে বেহুশ
হয়ে পড়ে যাই। যখন জ্ঞান ফিরে আসে তখন
দেখি সেই কাগজে লেখা ছিল, “তোমার
পালা আসছে! খুব শীঘ্রই!”
তখন আমার স্কুল প্রায় শেষের দিকে। ১৪ বছর
বয়সে যখন আমি স্কুল শেষ করে ফেলি তখন
সেই আওয়াজ এবং চিৎকারের
মাত্রা আরো বেড়ে যায়। একদিন
আমি বাড়ি থেকে ভয়ে আতঙ্কে চিৎকারকরে বের
হয়ে যাই। তখন বাড়িতে আমার
বাবা এবং মা (সৎ মা)
কেউই ছিলেন না। একটা পুলিশ ভ্যান
আমাকে উদ্ধার
করে থানায় নিয়ে যায়। সেখান
থেকে আমাকে স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সেখানে আমার সব কথা শোনার পর কর্তৃপক্ষ
আমাকে মেন্টাল হসপিটালে পাঠানোর
সিদ্ধান্ত
নেয়। তাদের ধারণা আমি পাগল
হয়ে গিয়েছি। কারন
আমি তাদের বলেছিলাম সেইসব চিৎকারের
কথা।
এমনকি আমি যেইরাতে আমার বিছানার
খাটের
নিচে একজন পুরুষ মানুষের বিকৃত লাশ
দেখতে পাই
সেই ঘটনাও চেপে যাই নি।
আমার বাবা এবং সৎ মা আমার জন্য অনেক
কান্নাকাটি করেন। লাভ হয়নি।
আমাকে ব্যালমাউন্ট
হসপিটালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সেখানে আমাকে ১
বছর রেখে চিকিৎসা করা হয়।কোনো লাভ হয়
নি।
সেই আওয়াজ এবং চিৎকার এখনও প্রতিদিন
আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। এখন আমি আর
ভয়
পাইনা। শুধু অপেক্ষা করি সেই বড়দিনের,
যেদিন
আসল ঘটনা ঘটবে।
সমাপ্ত!!
Share on Google Plus

About Nahid

    Blogger Comment
    Facebook Comment

8 comments:

  1. প্রথমআলো - করোনায় এক দিনে রেকর্ড ৪ লাখ আক্রান্ত ভারতে
    https://aboltabollekhalikhi.blogspot.com/2021/05/india-corona-affected-four-lakhs-singleday.html

    ReplyDelete
  2. interesting. please have some time visit my bangla travel blog as well TripretreatBD

    ReplyDelete
  3. Very informative blog. Love the story. Please take some time to visit mine Wiki Tourist

    ReplyDelete
  4. love the story. keep posting. Visit my travel blog as well Wikistravel

    ReplyDelete
  5. অনেক সুন্দর পোস্ট।
    Find pdf

    ReplyDelete